আজ শনিবার, ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

হাত ফসকালেই মৃত্যু

রেদওয়ান আরিফ

ঢাকা-নারায়নগঞ্জ রেলপথে ট্রেনের ছাদে, ইঞ্জিনে ও বগিতে ঝুলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে নারী পুরুষসহ শিশুরা। চাষাঢ়া, ফতুল্লা ও পাগলা স্টেশন থেকে উঠছে তারা। দীর্ঘ দিন ধরে এ অবস্থা চলছে বলে জানান যাত্রীরা। রেলওয়ে কর্মকর্তা বলছেন, ট্রেনের ছাদে ও ইঞ্জিনে ওঠার সময় বাধা প্রদান করা হলেও মানেনা অনেকে।
জানা গেছে, এই রেলপথে প্রতিদিন ১৬ জোড়া ট্রেন চলাচল করে। প্রতিদিন সরকারী-বেসরকারী অফিস আদালতের কর্মকর্তা,কর্মচারী, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেনি-পেশার মানুষ চলাচল করে। যাত্রীরা ট্রেনে করে ঢাকায় যাতায়াত করেন। আবার ঢাকা থেকে অনেকে নারায়নগঞ্জ আসেন।
যাত্রীরা জানান, শুধু যে টিকেট না পেয়ে ছাদে উঠেন তা নয়। বিনা পয়সায় যাতায়াতের উদ্দেশ্যেও অনেকে জীবনের ঝুঁকি নেন। বিশেষ করে নি¤œ শ্রেনীর লোকজন জেনে বুঝে ট্রেনের ছাদে, ইঞ্জিনে ও বগিতে ঝুলে জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছে। রেলওয়ে নানা ধরনের প্রস্তুতি থাকলেও তাদের কোন কার্যক্রম দেখা যায় না বলে জানান যাত্রীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রেনের সামনে উঠার জন্য রীতিমতো প্রতিযোগীতা চলে। কেউ কেউ প্রতিদিন একই স্থানে উঠে যাতায়াত করায় অন্য কেউ উঠলে ঝগড়া বাধিয়ে দেন।
রেলওয়ে পুলিশের কয়েকজন সদস্য জানান, ছাদে ও ইঞ্জিনে ওঠা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হলো লোকবলের সঙ্কট। অনেক সময়ই দেখা যায় ট্রেনের ভেতর জায়গা থাকলেও মানুষ ছাদে ও ইঞ্জিনে উঠে বসে থাকে। এ নিয়ে মাঝে মধ্যে নানা দূর্ঘটনা ঘটছে।
এ বিষয়ে নারায়নগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার গোলাম মোস্তফা বলেন, ট্রেনের ছাদে ও ইঞ্জিনে ওঠার সময় তাদের বাধা দেয়া হয়। এক শ্রেনীর যাত্রীরা কারো কথা শোনে না। যাত্রীরা স্টেশনের বাইরে গিয়ে সিগন্যালের কাছে বা যেখানে আস্তে আস্তে ট্রেন চলাচল করে সেখানে গিয়ে ঝুঁকি নিয়ে সেখান থেকে উঠেন। স্টেশনের মাস্টার আরোও বলেন, ট্রেনের ছাদে ও ইঞ্জিনে যারা যাতায়াত করে তাদের কাছ থেকে তারা ভাড়া আদায় করেন না। কারন চলন্ত ট্রেনের ছাদে ও ইঞ্জিনে ভাড়া আদায় করা ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানান তিনি।